ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ

আয়তন                           : ১৯৫০ বর্গ কিলোমিটার
প্রধান নদী                        : গড়াই, কুমার, নবগঙ্গা, বেগবতী, চিত্রা, ভৈরব, কপোতাক্ষ
উপজেলা                         : ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, হরিণাকুণ্ডু, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর
অন্যান্য নিদর্শন                : গাজী-কালু-চম্পাবতীর মাজার, বারোবাজার; রামগোপাল মন্দির, শৈলকুপা; মনসা মন্দির, মহেশপুর; জোড়াদহ গম্বুজ মসজিদ, হরিণাকুণ্ডু
ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ          : ঢাকার গাবতলী থেকে এসআরজি লাইন, সোহেলীসহ আরো কিছু পরিবহনের বাসে ঝিনাইদহে যাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩০০ টাকা। সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা।

 

ঢোলসমুদ্র পুকুর

মরমি গায়ক পাগলা কানাইয়ের সমাধিসৌধ যে বেড়বাড়ি গ্রামে, সেখানেই ঢোলসমুদ্র পুকুর। ঝিনাইদহ শহরের উপকণ্ঠেই এ গ্রাম। জনশ্রুতি আছে, প্রজাদের জলকষ্ট দূর করার জন্য রাজা পুকুরটি খনন করেছিলেন। কিন্তু অনেক গভীর করার পরও পানি ওঠেনি। রাজা স্বপ্নে আদিষ্ট হলেন, রানিকে অর্ঘ্য সাজিয়ে নিয়ে পুকুরে নেমে পূজা দিতে হবে, তাহলেই উঠবে পানি। রানি কাঁসার থালায় অর্ঘ্য সাজিয়ে পুকুরে নামলেন আর একটু একটু করে পানি উঠল। একসময় রানি ডুবে গেলেন। পুকুরটি বেশ বড়। শহর থেকে রিকশায় ঢোলসমুদ্র যেতে ভাড়া লাগে ৩০-৩৫ টাকা।

 

বারোবাজারের মসজিদ

ভৈরব নদের তীরে বারোবাজার। নামকরণ নিয়ে দু-তিন রকম ভাবনা আছে। কেউ বলেন, আগে এখানে বারোটি প্রসিদ্ধ বাজার ছিল। কেউ বা মনে করেন, পীর খানজাহান আলী ১২ জন আউলিয়া নিয়ে এখানে এসেছিলেন। বারোবাজার এলাকায় গোড়ান মসজিদ, জোড় বাংলো মসজিদ, গলাকাটা মসজিদ, চেরাগদানিসহ ১১টি মসজিদ আছে। পুরনো এই মসজিদগুলো মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল, খুঁড়ে বের করা হয়েছে। প্রতিটি মসজিদের সঙ্গেই একটি পুকুর রয়েছে। ঢাকার গাবতলী থেকে দর্শনাগামী জেআর, এসআরজি লাইন বা সোহেলী পরিবহনের বাসে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যাওয়া যায়। সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা। ভাড়া জনপ্রতি ৩০০ টাকা। কালীগঞ্জ থেকে যশোরগামী বাসে ১২ কিলোমিটার গেলেই বারোবাজার। বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে ঐতিহাসিক মসজিদগুলো।

 

মলি্লকপুরের বটগাছ

কালীগঞ্জ উপজেলার সুঁইতলা মলি্লকপুর গ্রামে রয়েছে এই বটগাছ। বিবিসি ১৯৮২ সালে একে এশিয়ার বৃহৎ ও প্রাচীনতম বটগাছ বলে চিহ্নিত করে। গাছটি ৩০০ ফুট উঁচু, বিস্তৃতি ১১ একরজুড়ে। কালীগঞ্জ সদর থেকে ছয় কিলোমিটার পুবে মলি্লকপুর।

 

নলডাঙ্গা রাজবাড়ি মন্দির

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম নলডাঙ্গা। মোগল আমলে মোহাম্মদ শাহি পরগনার রাজধানী ছিল নলডাঙ্গা। নলডাঙ্গা রাজবাড়ির শেষ রাজা ছিলেন প্রমথ ভূষণ রায়বাহাদুর। এখন রাজপ্রাসাদ না থাকলেও সাতটি মন্দির আজও রাজবাড়ির সাক্ষী হয়ে আছে। ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ ১৫ কিলোমিটার। কালীগঞ্জ সদর থেকে নলডাঙ্গা চার কিলোমিটার।

 

সূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ, ১৯/১১/২০১১ ইং